ঢাকা: রাজধানীর ফুটপাতগুলোকে দখলমুক্ত করে পথচারীদের হাঁটার উপযোগী করতে তোড়জোড় শুরু করেছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। ইতোমধ্যেই গুলিস্তান ও মিরপুর থেকে হকার উচ্ছেদের কার্যক্রম চালিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সমস্ত শহরের ফুটপাতকে দখলমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকার দুই মেয়র।
এর মধ্যেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফুটপাতকে দখলমুক্ত করতে আল্টিমেটাম দিয়ে রমনা, বংশাল, কোতোয়ালি ও সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (নভেম্বর ০১) উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন।
অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ওসিদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়েরের কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।
তবে উকিল নোটিশ পাওয়ার পর বুধবার (নভেম্বর ০২) সকাল পর্যন্ত গুলিস্তান ও এর আশেপাশের এলাকায় হকার উচ্ছেদে কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।
পল্টন মোড় থেকে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট হয়ে সদরঘাটের দিকে ফুলবাড়ি পর্যন্ত ফুটপাত হকারদের দখলেই রয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হয়ে, পাতাল মার্কেট, হল মার্কেট, ফ্লাইওভারের নিচের এলাকার ফুটপাতেও হকার ছিল প্রতিদিনকার মতোই।
যদিও ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তায় রয়েছেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।
যখন তখন উচ্ছেদের এই দোলাচলে না থেকে ব্যবসা করার জন্য রাজধানীতে নির্দিষ্ট জায়গা চান তারা।
গুলিস্তানের হল মার্কেটের সামনে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে ফুটপাতের ব্যবসায়ী স্বপন মিয়া বলেন, ‘আমাদের একটা নির্দিষ্ট জায়গা দেয়া হোক। তাহলেই তো আমরা উইঠা যাই। ফকরুদ্দিনের আমলেও নির্দিষ্ট জায়গাতে হকার ছিল কিন্তু কোথাও জ্যাম আছিল না। এমন নির্দিষ্ট জায়গা করে দিক। প্রত্যেকদিন এমন দৌড়াদৌড়ি ভালো লাগে না।
এছাড়া হকারদের ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গত ২৭ অক্টোবর গুলিস্তানে উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘লাগছে সেদিন পাতাল মার্কেট নিয়া। অথচ হকারগো উপরে দোষ চাপাইলো। আমাগোরে পুলিশ আইসা কইলেই উইঠা যাই, আমাগোরে উঠাইতেতো আর অস্ত্র লাগেনা।’
তবে থানা থেকে তাদের উঠে যেতে বলা হয়েছে কি না প্রশ্নের জবাবে কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন মিয়া জানান, ফুটপাত থেকে উঠে যেতে থানা থেকে নতুন কোন নির্দেশনা আসেনি।
উকিল নোটিশের ব্যাপারে বংশাল থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, এমন একটা নোটিশ এসেছে শুনেছি। কিন্তু এখনো খোঁজ নিয়ে দেখিনি।
কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, আমরা সবসময়ই ফুটপাত উদ্ধারে অভিযান চালাই। এটা নতুন কিছু না।
সূত্রাপুর থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, আজকে আমার এলাকার সব হকার উচ্ছেদ করা হয়ে গেছে। আপনি চাইলে এসে দেখতে পারেন।